বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ নেতা মো. ছকির উদ্দিন গ্রেপ্তার
পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের পবাখালী পুকুরপাড়া এলাকা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের পর আওয়ামী লীগ নেতা মো. ছকির উদ্দিন (৭৩) কে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা পুলিশ। তিনি ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ নেতা মো. ছকির উদ্দিন গ্রেপ্তার
পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের পবাখালী পুকুরপাড়া এলাকা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের পর আওয়ামী লীগ নেতা মো. ছকির উদ্দিন (৭৩) কে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানা পুলিশ। তিনি ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
গ্রেপ্তারের ঘটনা
মঙ্গলবার দিবাগত রাত (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সাড়ে বারোটার দিকে চাটমোহর থানার পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে মো. ছকির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, গত ১০ জানুয়ারি ২০২৫ গুনাইগাছা ইউনিয়নে বিএনপি কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইন, ১৯০৮-এর ৫, ৩, ৬ ধারায়) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি: রাজনৈতিক হয়রানি
মো. ছকির উদ্দিনের পরিবারের দাবি, তিনি প্রবীণ, প্রায় অন্ধ, এবং কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নন। তাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়:
তিনি কোনো দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত নন।
মামলার বাদী তাকে কখনও দেখেননি বা চেনেন না।
রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।
এমপির রোষানলে পড়ে তিনি বিভিন্ন সময় নির্যাতিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ
চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এক যৌথ বিবৃতিতে মো. ছকির উদ্দিনের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন:
এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানি।
তাকে ভিত্তিহীন মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক
ছকির উদ্দিনের গ্রেপ্তারের পর থেকে চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা মনে করছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে এ ধরনের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
পাবনা জেলা প্রতিনিধি