নওগাঁর পত্নীতলায় ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেনের রহস্যজনক মৃ*ত্যু
নওগাঁর পত্নীতলায় সুমন হোসেন (২২) নামের এক যুবকের ম*রদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বিল ছাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে এবং নজিপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় নাপিত পুকুরা এলাকায় কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ম*রদেহ পাওয়া যায়।
নওগাঁর পত্নীতলায় ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেনের রহস্যজনক মৃত্যু
নওগাঁর পত্নীতলায় সুমন হোসেন (২২) নামের এক যুবকের ম*রদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি বিল ছাড়া গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে এবং নজিপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় নাপিত পুকুরা এলাকায় কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ম*রদেহ পাওয়া যায়।
ঘটনার বিবরণ
সোমবার রাত ১০টার দিকে সুমন তার পরিচিতদের ফোনে জানান, বুলবুল নামে একজন ব্যক্তি তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন এবং তাকে হ*ত্যার জন্য ধাওয়া করছেন। ফোনে সুমন বলেন:
"ভাই, আমাকে বাঁচাও। বুলবুল লাঠি ও চাকু নিয়ে আমাকে মারতে আসছে। আমি ধানের খেতের ভেতর লুকিয়ে আছি।"
রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা নাপিত পুকুরা এলাকায় কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের ম*রদেহ দেখতে পান। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃ*ত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভ
মৃত্যুর আগে সুমন তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে গিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি বুলবুলের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সুদের বিনিময়ে ফাঁকা ব্যাংক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল। পরে বুলবুল তাকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দিতে থাকেন।
সুমনের লাইভ ভিডিওটি ৫ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড দীর্ঘ, যেখানে তিনি তার জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানান এবং ন্যায্য বিচার চান।
স্থানীয়দের বক্তব্য
স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন ও রুবেল হোসেন জানান:
"রাতে সুমনের ফোন পেয়ে আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করি। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পাই।"
পত্নীতলা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য মারুফ মোস্তফা বলেন:
"এটি একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।"
পুলিশের বক্তব্য
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান জানান,
"মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুমনের অভিযোগ ও ফেসবুক লাইভের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। আসল রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।"
আর্থিক লেনদেনের জটিলতা
সুমনের মৃত্যুর পেছনে বুলবুলের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পুলিশ নিশ্চিত করতে চায়, ফেসবুক লাইভে উল্লেখিত অভিযোগ ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি সত্য কিনা।
সুমনের পরিচিতি
সুমন নজিপুর মসজিদ মার্কেটে একটি কম্পিউটার ও ফটোকপির দোকান চালাতেন। তিনি একজন শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও পরিবারের আর্থিক সহযোগিতা করতেন।
জনমত ও দাবী
স্থানীয়দের মতে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।