শিক্ষা অফিসের আদেশ অমান্য করলেন প্রধান শিক্ষক, ভোগান্তিতে পাঁচ শিক্ষক

কিশোরগঞ্জ সদরের আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক জেলা শিক্ষা অফিসের আদেশকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, তিনি প্রতিহিংসার শিকার করে পাঁচজন শিক্ষককে অবৈধভাবে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছেন, যা আইনগতভাবে সঠিক নয়।

শিক্ষা অফিসের আদেশ অমান্য করলেন প্রধান শিক্ষক, ভোগান্তিতে পাঁচ শিক্ষক

শিক্ষা অফিসের আদেশ অমান্য করলেন প্রধান শিক্ষক, ভোগান্তিতে পাঁচ শিক্ষক

কিশোরগঞ্জ সদরের আরজত আতরজান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক জেলা শিক্ষা অফিসের আদেশকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, তিনি প্রতিহিংসার শিকার করে পাঁচজন শিক্ষককে অবৈধভাবে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছেন, যা আইনগতভাবে সঠিক নয়।

 ঘটনার বিস্তারিত:

ভুক্তভোগী শিক্ষকগণ জেলা শিক্ষা অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অভিযোগ জমা দিলে, ২৬-০৩-২০২৫ তারিখে একটি অফিসিয়াল আদেশ জারি করা হয় (স্মারক নং ০৩২৫৪৮০০-৩১৩)। এতে শিক্ষকদের দুই বছরের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও পাঠদানে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়

কিন্তু প্রধান শিক্ষক আবুবকর ছিদ্দিক সরকারি নির্দেশ মানতে রাজি হননি এবং ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে গেলে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, তিনি কোনো ব্যবস্থা নেবেন না

 প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ:

অবৈধভাবে পাঁচ শিক্ষককে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো
জেনারেল ফান্ডের অর্থের অনিয়ম ও অপচয়
কমিটির অনুমোদন ছাড়া লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়
বিদ্যালয়ের দুইটি বড় মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করা, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নেওয়া
আগের কর্মস্থল বিন্নাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন

 ভুক্তভোগী শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া:

একজন শিক্ষক বলেন,
"শিক্ষা অফিসের আদেশের কোনো মূল্য নেই, যদি একজন প্রধান শিক্ষক তা মানতে বাধ্য না হন। আমাদের বকেয়া বেতনও দেওয়া হচ্ছে না, পাঠদান করতেও দেওয়া হচ্ছে না। এটা শিক্ষাক্ষেত্রে বড় অন্যায়।"

 এলাকাবাসীর দাবি:

 পাঁচজন শিক্ষকের পূর্ণ পুনর্বহাল
বকেয়া বেতন পরিশোধ
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত
বিদ্যালয়ের অর্থ ও গাছ কাটার বিষয়ে সঠিক তদন্ত

প্রতিবেদন: নিজাম উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি