শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএনপি নেতার হামলার শিকার সাংবাদিক!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মহান শহীদ দিবসে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে.এম. বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

শহীদ মিনারে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিএনপি নেতার হামলার শিকার সাংবাদিক!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মহান শহীদ দিবসে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কে.এম. বশির উদ্দিন তুহিনের নেতৃত্বে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সময়: বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২:১৫
স্থান: নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
ভুক্তভোগী: আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (কালবেলা ও এনটিভির উপজেলা প্রতিনিধি)
হামলার বিবরণ
রাত ১২:০১ মিনিটে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন চলছিল।
বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জাতীয় নাগরিক কমিটির দুইজনকে ছাত্রলীগের সদস্য সন্দেহে পেটাতে শুরু করে।
সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ঘটনাটি মুঠোফোনে ধারণ করতে গেলে বিএনপি নেতা কে.এম. বশির উদ্দিন তুহিন তার মোবাইল কেড়ে নেন ও রড দিয়ে আঘাত করেন।
পরে তার ভাতিজা কে.এম. মারজান, কে.এম. নাসিরসহ ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
মুখ, চোখ, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।
পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।
চিকিৎসকের বক্তব্য
ডা. আবুল বাশার (নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স):
"শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি, তবে আরও পরীক্ষা প্রয়োজন।"
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের প্রতিক্রিয়া
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ:
"জাতীয় নাগরিক কমিটির দুজনকে ছাত্রলীগ বলে মারধর করা হচ্ছিল, তাই ফুটেজ সংগ্রহ করছিলাম। তখনই কে.এম. বশির মোবাইল কেড়ে নিয়ে আমাকে আঘাত করে। পরে তার ভাতিজারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমি সুবিচার চাই।"
বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান:
"সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছি, তবে আমি শহীদ মিনারে ছিলাম। বিস্তারিত বশির বলতে পারবে।"
কে.এম. বশির উদ্দিন তুহিন:
"ফোন রিসিভ করেননি।"
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
ওসি মো. খায়রুল আলম (নাসিরনগর থানা):
"ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শহীদ মিনারে ছিল। বিএনপি-ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে দেখে উত্তেজিত হয়। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার সময়ও তাকে মারধর করা হয়। সাংবাদিক মাহমুদ ভিডিও ধারণ করায় তাকেও মারধর করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"
নয়ন কুমার দাস, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া