WFP প্রকল্পের কোটি টাকা লুটপাট: ইউপি চেয়ারম্যান ও RDRS কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি এবং RDRS কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে WFP প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০৬০ মিটার নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ১ কোটি ১১ লাখ টাকা থেকে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে।

WFP প্রকল্পের কোটি টাকা লুটপাট: ইউপি চেয়ারম্যান ও RDRS কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি এবং RDRS কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে WFP প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০৬০ মিটার নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ১ কোটি ১১ লাখ টাকা থেকে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ
স্থানীয়দের দাবি,
✔ বরাদ্দকৃত অর্থের বেশিরভাগ আত্মসাৎ করা হয়েছে
✔ নির্মাণকাজের গুণগত মান অত্যন্ত নিম্নমানের
✔ চেয়ারম্যান ও RDRS কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকারি তহবিল লুটপাট
এ প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি সাংবাদিকদের বলেন,
"যা পারেন করেন, অফিস ম্যানেজ মানেই সব ম্যানেজ।"
চেয়ারম্যানের একনায়কতন্ত্র ও জনগণের ক্ষোভ
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি ইউনিয়নে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছেন।
✔ সাধারণ মানুষ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত
✔ তার বিরুদ্ধে কথা বললেই হুমকি-ধমকি
✔ সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের পরিবারের ওপর হামলা
সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন,
"নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর আমার পরিবারের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। আমার ভাইকে হারিয়েছি, কিন্তু কোথাও সুবিচার পাইনি।"
অন্যান্য দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
টিআর, কাবিখা/কাবিটা, জি আর, ভিজিডি, এডিবি, এলজিএসপি, ননওয়েজ, লজিক, ইজিপিপি প্রকল্পে অনিয়ম
ইউপি ট্যাক্স ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ফি আত্মসাৎ
পরিষদের রাজস্ব খেয়ালখুশি মতো ব্যবহার
প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি
বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের জনগণ চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা চান, ইউনিয়ন পরিষদে সুশাসন ফিরিয়ে আনা হোক ও সকল উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হোক।
চেয়ারম্যানের প্রতিক্রিয়া
চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রশাসনের নজরদারি ও তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন এখন সময়ের দাবি।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি