কয়রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত মূল্যায় পরীক্ষার প্রশ্নফি শিক্ষা অফিস অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এপরীক্ষায় পরীক্ষার ফিস বাবদ প্রয়োজনের চেয়ে থেকে তিনগুণ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কয়রায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চূড়ান্ত মূল্যায় পরীক্ষার প্রশ্নফি শিক্ষা অফিস অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এপরীক্ষায় পরীক্ষার ফিস বাবদ প্রয়োজনের চেয়ে থেকে তিনগুণ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, গত ইংরেজি ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয়,চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে সর্বমোট ৯৭১৫ জন পরীক্ষার্থী প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। তাদের অনুকূলে ৯৭১৫ সেট প্রশ্ন ১৪ টাকা হারে ১লাখ ৩৬ হাজার১০ টাকা আদায় করেছে কয়রা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। যাহা প্রশ্ন ছাপানো খরচের চেয়ে তিন গুণ বেশি টাকা। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মূল্যায়নের সকল পরীক্ষার দায়িত্ব স্ব স্ব প্রধান শিক্ষকের হাতে থাকলেও এবার পরীক্ষায় এবার লোভনীয় আশা নিয়ে কয়রা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার নিজেই সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক বলেন, মূল্যায়ন পরীক্ষার জন্য খাতা,প্রশ্নপত্র ছাপানো সহ সকল খরচ স্কুলের বাৎসরিক স্লিপ ফান্ড থেকে খরচ করার পরামর্শ দেন শিক্ষা অফিসার। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকদের দাবি প্রত্যেক প্রশ্নপত্র সেটের ছাপানো খরচ বাবদ তাদের কাছ থেকে কেন ১৪ টাকা নেয়া হচ্ছে এ ব্যাপারে কিছুই তারা জানেন না। তারা প্রতি প্রতিসেট প্রশ্নপত্র ১৪ টাকা দিয়ে শিক্ষা অফিস থেকে ক্রয় করেছেন ।
জানতে চাইলে এ ব্যাপারে কয়রা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার বলেন, প্রশ্নপত্র ছাপানো বা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে কয়রা শিক্ষা অফিসে মিটিংও রেজুলেশন এর মাধ্যমে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।প্রশ্নপত্র ছাপানোর খরচ প্রতিসেট ৫ টাকার মতো হয় এটা সঠিক কিন্তু প্রশ্ন রেডি করতে আনুষঙ্গিক আরো অনেক খরচ আছে যে কারণে একটু বেশি নেওয়ার হচ্ছে।
শেখ জাহাঙ্গীর কবির টুলু