কলকলিয়া ইউনিয়নের প্রসূতি মায়েদের নির্ভরতার প্রতীক: কামারখাল উপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামারখাল উপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রসূতি মায়েদের জন্য নির্ভরতার একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রটি গত বছরও মা ও শিশু মৃত্যুহীন অবস্থায় সেবাদান করে, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।

কলকলিয়া ইউনিয়নের প্রসূতি মায়েদের নির্ভরতার প্রতীক: কামারখাল উপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

কলকলিয়া ইউনিয়নের প্রসূতি মায়েদের নির্ভরতার প্রতীক: কামারখাল উপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামারখাল উপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রসূতি মায়েদের জন্য নির্ভরতার একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রটি গত বছরও মা ও শিশু মৃত্যুহীন অবস্থায় সেবাদান করে, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।

সেবার মান ও কার্যক্রম

এই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন মিডওয়াইফ সুমা বেগম। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত একা প্রসূতি মায়েদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত এক বছরে এই কেন্দ্র থেকে ২৬ জন প্রসূতি মা নিরাপদে সন্তান প্রসব করেছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, কামারখাল উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে আরও ২-৩ জন মিডওয়াইফ নিয়োগ করা হলে সেবার মান আরও উন্নত হবে। প্রসূতি মায়েদের অভিযোগহীন সেবাদান নিশ্চিত করলেও চিকিৎসকের অভাবে অন্যান্য চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা।

ভিডিও দেখুন

স্থানীয়দের মতামত ও দাবী

কেন্দ্রে গর্ভবতী নারীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রয়েছে। কেন্দ্রটি নিয়মিত উন্নয়নে অবদান রেখেছেন কলকলিয়া ইউনিয়নের প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাশিম। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে মাওলানা জয়নাল আবেদীন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

মিডওয়াইফ সুমা বেগম বলেন, "আমরা প্রসূতি মায়েদের সেবা দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করি। এখানে কোনো টাকা নেওয়া হয় না।"

সেবা বৃদ্ধির জন্য দাবি

এলাকাবাসী দ্রুত এই কেন্দ্রে চিকিৎসক ও অতিরিক্ত মিডওয়াইফ নিয়োগের দাবি তুলেছে। কারণ সেবাগ্রহীতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, এবং সেবার মান উন্নত রাখতে প্রয়োজন অতিরিক্ত জনবল।

প্রতিবেদন: মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর