জগন্নাথপুরে পুরাতন বাঁধ কেটে চলছে ২৭নং ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করেছে। এর মধ্যে ২৭নং পিআইসি বাগমনা এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে পুরাতন বাঁধের মাটি কেটে।

জগন্নাথপুরে পুরাতন বাঁধ কেটে চলছে ২৭নং ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ

জগন্নাথপুরে পুরাতন বাঁধ কেটে চলছে ২৭নং ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ। ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৩৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করেছে। এর মধ্যে ২৭নং পিআইসি বাগমনা এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে পুরাতন বাঁধের মাটি কেটে।

সরেজমিন প্রতিবেদন

কুশিয়ারা নদীর তীরে পুরাতন বাঁধ থেকে মাটি কেটে নতুন বাঁধ নির্মাণের দৃশ্য দেখা গেছে। স্থানীয়রা জানান, বাঁধ নির্মাণে কমিটির সদস্যরা ২/৩টি গাছও কেটে ফেলেছেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

পাউবোর বক্তব্য

পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, পুরাতন বাঁধ কাটা এবং নতুন বাঁধ তৈরির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “বাঁধের কাজ করতে গিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে কারণ সেগুলো কাজের বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।” এছাড়া নদী ভাঙন রোধে সরকারি জমিতে নতুন বাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

পিআইসির বক্তব্য

২৭নং পিআইসির সভাপতি এবং ইউপি সদস্য মোঃ তেরা মিয়া জানান, “হাওরে মাটির অভাব থাকায় পুরাতন বাঁধ থেকে মাটি নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পুরাতন বাঁধ মেরামত করা হবে। গাছ কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছোট গাছগুলো কাজের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছিল, তাই কেটে ফেলা হয়েছে।’”

স্থানীয়দের অভিযোগ

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, “কাটা গাছগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মাঠে কাজ শেষে আমরা এই গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতাম। ঝড়-বৃষ্টিতেও আশ্রয়ের জন্য এই গাছগুলো প্রয়োজন ছিল। গাছ কাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।” তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পরিবেশগত প্রভাব

গাছ কাটার ঘটনায় পরিবেশের ক্ষতি এবং স্থানীয়দের আশ্রয়ের অভাব নিয়ে দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। নতুন বাঁধ নির্মাণের সময় পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি