পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মেসার্স এ কে এস ব্রিকসে কাঠ ও টায়ার জ্বালিয়ে ইট পোড়ানো
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মেসার্স এ কে এস ব্রিকসে প্রকাশ্যে কাঠ ও টায়ার জ্বালিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মেসার্স এ কে এস ব্রিকসে কাঠ ও টায়ার জ্বালিয়ে ইট পোড়ানো
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই মেসার্স এ কে এস ব্রিকসে প্রকাশ্যে কাঠ ও টায়ার জ্বালিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরও এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ
ভাটার চারপাশে মজুত রাখা হয়েছে বিপুল পরিমাণ কাঠ এবং টায়ার। ইট পোড়ানোর জন্য কাঠ ও টায়ার ব্যবহারের ফলে চিমনি থেকে বের হওয়া কালো ধোঁয়া আশপাশের বসতি, স্কুলের শিক্ষার্থী এবং ফসলি জমির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে,
- লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না।
- ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তবে, মেসার্স এ কে এস ব্রিকসের ম্যানেজার নিলকান্ত জানান, "ম্যানেজ করেই ভাটার কার্যক্রম চলছে।" কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় কাঠ ও টায়ার ব্যবহার করে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের বক্তব্য
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন,
- এই ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের হালনাগাদ কোনো ছাড়পত্র নেই।
- জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
- খুব শীঘ্রই অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেছেন,
"অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) এসব ভাটা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।"
পরিবেশের ক্ষতি
কাঠ ও টায়ার পোড়ানোর ফলে কালো ধোঁয়া সরাসরি প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি করছে। ফসলি জমি, বৃক্ষ, এবং মানবস্বাস্থ্যের জন্য এটি একটি বড় হুমকি।
মো: দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি