পাবনায় TMSS ভাঙ্গুড়া শাখার এনজিও কর্মী সোহেলের দুর্নীতির কৌশল ফাঁস!
পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় TMSS এনজিওর ভাঙ্গুড়া শাখার কর্মী সোহেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ঋণ গ্রহণের নামে গরিব ও অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা আদায় করলেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় ঋণ প্রদান করছেন না।

পাবনায় TMSS ভাঙ্গুড়া শাখার এনজিও কর্মী সোহেলের দুর্নীতির কৌশল ফাঁস!
পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় TMSS এনজিওর ভাঙ্গুড়া শাখার কর্মী সোহেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ঋণ গ্রহণের নামে গরিব ও অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা আদায় করলেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় ঋণ প্রদান করছেন না।
ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতা
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে উপজেলার পার্শ্ববর্তী চৌবাড়িয়া গ্রামের মঞ্জুয়ারা খাতুন TMSS-এর এক সমিতিতে ভর্তি হতে আসেন। সোহেল তার কাছ থেকে সঞ্চয় বাবদ ৫০০০ টাকা, ভর্তি ফি ১০০ টাকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে জানান, আগামী সপ্তাহে তাকে ৫০,০০০ টাকা ঋণ দেওয়া হবে।
পরের সপ্তাহে সমিতিতে গেলে সোহেলের পরিবর্তে অন্য এক কর্মী উপস্থিত ছিলেন, যিনি জানান সোহেল অসুস্থ, আজ ঋণ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে তিনি সঞ্চয়ের ৫০০০ টাকা ফেরত দেন, কিন্তু ভর্তি ফি ১০০ টাকা ফেরত দেননি।
এরপর টানা তিন সপ্তাহ ধরে সোহেলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভর্তি বাতিল করে নতুন কর্মীর কাছে টাকা নিতে হবে। নতুন কর্মী আবার বলেন, যার কাছে টাকা দিয়েছেন, তার কাছ থেকেই নিতে হবে।
সাংবাদিককে হুমকি!
বিষয়টি নিয়ে ভিশন এস টিভির সংবাদকর্মী সোহেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি উল্টো হুমকি দেন। তিনি বলেন,
"যা পারেন, তাই কইরেন!"
এছাড়া, তার ছবি তুলতে গেলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া ও দাবি
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ ধরনের ছোটখাটো দুর্নীতি সোহেলের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তাই, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেন সোহেলের মতো এনজিও কর্মীরা গরিব ও অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করার সাহস না পায়।
ভুক্তভোগীদের দাবি:
✔ সোহেলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ
✔ TMSS কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করা
✔ গরিব মানুষের অর্থ আত্মসাৎ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া
এলাকার ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতারা সোহেলের দুর্নীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পাবনা জেলা প্রতিনিধি: এস. এম. মনিরুজ্জামান আকাশ