পাবনায় ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলাধীন ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দোওয়া-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আইয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়

পাবনায় ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

পাবনায় ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলাধীন ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে  দোওয়া-আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়  ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আইয়ুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় 
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৪) সকাল
এগারো ঘটিকার সময় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোওয়া মাহফিল আলোচনায় অংশ নিয়ে
ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ  বলেন, আমরা পাকিস্তানের নির্যাতন নিষ্প্রেষন থেকে মুক্তির লক্ষে ১৯৪৮ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছি। তারই প্রেক্ষিতে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকে ভাষা আন্দোলনের বীজ বোপিত হয়। ধীরে ধীরে দৃশ্যত হয়ে দানা বেঁধে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলার জয় নিশ্চিত করে। কিন্তু তবুও আমরা ক্ষমতা পাইনি, উল্টো আরো স্বশস্ত্র আক্রমণ শুরু হয়। স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ম্যান্ডেডধারী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব! বন্দী হন শেখ মুজিবুর রহমান তাকে পাকিস্তানে  নিয়ে যাওয়া হয়। জাতীয় চার নেতার নেতৃত্বে প্রবাসী সরকার গঠিত হয় বাংলাদেশকে এগারোটি সেক্টরে বিভক্ত করে জেনারেল ওসমানীকে সেনাবাহিনীর প্রধান করে মুক্তিযুদ্ধ চলতে থাকে। প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সহযোগিতা ও নির্দেশে মিত্র বাহিনী বাংলাদেশের পক্ষে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। এক কোটি শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ অস্ত্র দিয়ে সহয়তা করেন ভারত। পৃথিবীতে একমাত্র দেশ যে, 
প্রতিবেশী বাংলাদেশকে সাহায্য করতে এসে সাতাশ হাজার স্বশস্ত্র সৈনিক কে শহীদ করে এবং তাদের মৃতদেহও নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যেতে পারেনি। আমি প্রতিবেশী ভারতের সেদিনের অবদান ও ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে প্রতিবাদও জানাচ্ছি বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন বিষয়ে কথা বলা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বার বার কটু অযাচিত অশোভনীয় কথা বলার জন্য। 
 এস এম মনিরুজ্জামান আকাশ আরো বলেন,  মহান মুক্তিযুদ্ধে ও গনতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।  শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ সকল বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আপনাদের সকলের কাছে দোওয়া চাই সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায়।আপনারা সকলেই দোওয়া করবেন। 

আরো বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন  মোঃ হাবিবুর রহমান (হাবিব)দপ্তর সম্পাদক,ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ।
 উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা  ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আত্তাব আলী মোল্লা ও সাধারন সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন খান।
আওয়ামীলীগ নেতা তৈয়বুর রহমান তৈয়ব মাস্টার,
কৃষকলীগ নেতা তোজাম্মেল হক তোজাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ফৈলজানা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের অনেক নেতা কর্মীরা।
পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলোয়াত করেন ও দোওয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মোঃ শামসুল ইসলাম সরদার।

(পাবনা জেলা প্রতিনিধি- এস এম এম আকাশ)