রোগী আছে ডাক্তার নাই, রোগ আছে ওষুধ নাই, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কয়রা বেদকাশি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র
খুলনা জেলার সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ এই কয়রার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রান্তে সুন্দরবনের গাঘেষা বেদকাশী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির ভবন দীর্ঘদিন ভাঙ্গাচোর অবস্থায় আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি করেও এ ব্যাপারে পাচ্ছেন না কোন সাড়া।
রোগী আছে ডাক্তার নাই, রোগ আছে ওষুধ নাই,
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কয়রা বেদকাশি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র
খুলনা জেলার সুন্দরবন উপকূলীয় জনপদ এই কয়রার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রান্তে সুন্দরবনের গাঘেষা বেদকাশী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির ভবন দীর্ঘদিন ভাঙ্গাচোর অবস্থায় আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দাবি করেও এ ব্যাপারে পাচ্ছেন না কোন সাড়া।
কয়রা সদর ইউনিয়নে দুই নম্বর কয়রা কাশির খালদার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ১৯৮২ সালে মোংলাই শেখের ওয়ারেস গনের দান করা ৩৩ শতাংশ জমিতে নির্মিত হয়। শুরুতেই পাকা দেয়াল ও উপরের টিনসেড দিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়। ১৯৮৮ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ঘরটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলে তৎকালীন আংশিক মারামত করা হয়। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় আবারো ক্ষতিগ্রস্ত সহ দীর্ঘদিন লবণ পানিতে ডুবে থাকে। স্থানীয়ভাবে সাধারণ মানুষের প্রচেষ্টায় তৎকালীন চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারি একটি টিআর বরাদ্ধ পেয়ে ভবনটি রিপেয়ারিং করে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সহ কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা এলাকাবাসী বারবার জানালে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির ভাগ্যে জুটিনি রিপেয়ারিংকাজ। ইতিপূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে অনেক মহালের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করলেও অদ্যবধি ভবনটি মেরামত নতুন কোন ভবন নির্মাণের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে ভবনটির খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে কেন্দ্রের টয়লেটিও একেবারেই ব্যবহারের অনুপোযোগি। ভাঙ্গাচোরা জরাজীর্ণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি যেন অভিভাবকহীন একটি সরকারি হাসপাতাল । যেখানে রোগী আছে কিন্তু ডাক্তার নাই, রোগ আছে কিন্তু ওষুধ নাই ।
স্থানীয়রা দীর্ঘদিন যাবত একাধিকবার নানা মহলে দেন দরবার করেও ভবন সংস্কার সহ কোন চিকিৎসক দেওয়া হয়নি হাসপাতালটিতে। আশেপাশে গ্রামের গরিব রোগীদের ভিড় পড়ে চোখে পড়ার মতো। প্রতিদিন গড়ে দেড়শত থেকে দুইশত জন রোগি এখানে চিকিৎসা সহ ঔষধ নিতে আসে । দুই নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ কেনারাম বিশ্বাস বলেন, আমি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ আমাকে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয় ,টাকার অভাবে আমি ভালো ডাক্তার দেখাতে পারিনা ওষুধ কিনে খেতে পারিনা। একজন ভাল ডাক্তার দিয়ে দেখাতে গেলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা শুধু ভিজিট দিতে হয় কোথায় পাব এত টাকা। গ্রামেরএই সরকারি ক্লিনিকে আমি দশ বছরেরও বেশি ডাক্তার দেখাই এবং থ্রি ওষুধ নিয়ে খাই। বেশ কিছুদিন যাবত ক্লিনিক তো বন্ধ দেখি শুনলাম বাবু ডাক্তার নাকি চলে গেছে, বাধ্য হয়ে আমাকে ২-৩ মাইল পায়ে হেঁটে বেদকাশি দিঘীরপাড়ের একটা ক্লিনিক থেকে ওষুধ আনতে হয়।
শেখ জাহাঙ্গীর কবির টুলু