সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: আহত ৩, জারি হলো ১৪৪ ধারা
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দলীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারালী চৌরাস্তা মোড়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ফলে তিনজন আহত হন। সংঘর্ষের পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। সংঘর্ষস্থল ও আশেপাশের ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: আহত ৩, জারি হলো ১৪৪ ধারা
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে দলীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারালী চৌরাস্তা মোড়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ফলে তিনজন আহত হন।
সংঘর্ষের পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। সংঘর্ষস্থল ও আশেপাশের ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
সংঘর্ষের পটভূমি
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ ইফতেখার আলী এবং সদস্যসচিব আব্দুল আলিমের নেতৃত্বে কালিগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। নতুন এই কমিটির আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম এবং সদস্যসচিব ডা. শফিকুল ইসলাম বাবুকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল।
তারালী ইউনিয়নে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হলে তা “পকেট কমিটি” বলে উল্লেখ করে এক পক্ষ প্রতিবাদ জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোববার প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সোমবার নতুন কমিটির পক্ষ থেকে বিজয় মিছিল আয়োজন করলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের বিবরণ
- সংঘর্ষস্থল: তারালী চৌরাস্তা মোড়।
- সময়কাল: বিকাল ৫টা থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা।
- আহতরা:
- উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব শেখ আব্দুল আজিজ (গুরুতর আহত)।
- নলতা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের।
- সাইবার ফোর্সের তথ্য সম্পাদক সাব্বির আহম্মেদ।
- সংঘর্ষে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে, ৬-৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং সাংবাদিক আবুল কালামের মোবাইল কেড়ে নেয়।
প্রশাসনের পদক্ষেপ
সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল ও পুলিশ সদস্যরা দ্রুত পদক্ষেপ নেন।
- ১৪৪ ধারা জারি:
- ফুলতলা মোড় থেকে বাস টার্মিনাল এবং আশেপাশের ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।
- সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত কার্যকর।
- সংঘর্ষস্থলে সেনা ও পুলিশ মোতায়েন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মণ্ডল জানান,
“পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছি। প্রয়োজন হলে এর সময়সীমা বাড়ানো হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শহিদুল আলম আহত যুবদল নেতাদের দেখতে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
✍️ রিয়াজুল ইসলাম আলম, সাতক্ষীরা