সাতক্ষীরায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত: জমি চাষে সমস্যার সমাধান খুঁজতে যৌথ পরিমাপের সিদ্ধান্ত
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) এবং বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী)-এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে দুই বাংলাদেশি কৃষকের জমি চাষে বিএসএফের বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় এ বৈঠক আয়োজিত হয়।
সাতক্ষীরায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত: জমি চাষে সমস্যার সমাধান খুঁজতে যৌথ পরিমাপের সিদ্ধান্ত
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিজিবি (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) এবং বিএসএফ (ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী)-এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে দুই বাংলাদেশি কৃষকের জমি চাষে বিএসএফের বাঁধা দেওয়ার ঘটনায় এ বৈঠক আয়োজিত হয়।
পতাকা বৈঠকের নেতৃত্ব
- বিজিবি’র পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন: লে. কর্নেল আশরাফুল হক, অধিনায়ক, ৩৩ বিজিবি।
- বিএসএফের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন: রমেশ কুমার, কমান্ডার, ১০২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত
আগামী ১৫ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ যৌথভাবে আপত্তিকৃত জমির পরিমাপ করবে। এরপর বিষয়টির চূড়ান্ত নিস্পত্তি হবে।
কৃষকদের অভিযোগ
১. নাজমুল হোসেন, লক্ষীদাড়ি গ্রামবাসী:
- কুমড়াখালী খালের বাংলাদেশ অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে লিজ নেওয়া ১০ শতক জমিতে ধান রোপণে বিএসএফ বাঁধা দেয়।
- বিএসএফ দাবি করে, এটি ভারতের জমি।
২. শাহীন গাজী, একই গ্রামের কৃষক:
- ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চাষাবাদ করা ১ বিঘা জমিতে চাষে বাঁধা দেয় বিএসএফ।
- ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ দাবি করে, জমিটি তাদের।
পতাকা বৈঠকের পর বিজিবির বক্তব্য
ভোমরা বিজিবির সুবেদার আফজাল হোসেন জানান, আপত্তিকৃত জায়গা ছাড়া অন্যান্য অংশে চাষাবাদ অব্যাহত থাকবে। যৌথ পরিমাপ শেষে আপত্তিকৃত জমির মালিকানা চূড়ান্ত করা হবে।
প্রতিবেদন: মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি