অবৈধ বালু উত্তোলনে ভাঙনের ঝুঁকিতে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি, বালু বোঝাই নৌকা আটক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কোনো অনুমোদিত বালু মহাল না থাকলেও কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট চক্র উন্নয়ন প্রকল্পের অজুহাতে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অবৈধ বালু উত্তোলনে ভাঙনের ঝুঁকিতে নদী তীরবর্তী ঘরবাড়ি, বালু বোঝাই নৌকা আটক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কোনো অনুমোদিত বালু মহাল না থাকলেও কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট চক্র উন্নয়ন প্রকল্পের অজুহাতে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
নদী ভাঙনের ঝুঁকি
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ গভীর হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় কুশিয়ারা সেতু, রাস্তাঘাট, ফেচী বাজারসহ নদী তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছে। এছাড়া মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনও হুমকির সম্মুখীন।
প্রশাসনের অভিযান ও নৌকা আটক
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন একাধিক অভিযান পরিচালনা করলেও রাতে বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়মিত প্রকাশিত হওয়ায় প্রশাসন সক্রিয় হয়। গতকাল রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ভূমি অফিস কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু বোঝাই একটি নৌকা আটক করে।
সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম মিয়া বলেন, "অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে একটি নৌকা আটক করা হয়েছে। নৌকাটি ছাড়াতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তেরা মিয়া ও কাওসার আহমদ আমার অফিসে আসেন।"
অন্যদিকে, নৌকায় থাকা বালু শ্রমিক আবুল কাশেম জানিয়েছেন, মেম্বারদের নির্দেশে বালু সরবরাহ করা হচ্ছিল।
সমাধানের দাবি
নদী ভাঙন প্রতিরোধে এবং অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয়রা প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি