সুন্দরবনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার, পালালো চোরা শিকারিরা
সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ৬২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে একটি নৌকা ও হরিণ শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও, চোরা শিকারিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

সুন্দরবনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬২ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার, পালালো চোরা শিকারিরা
সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ৬২ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে একটি নৌকা ও হরিণ শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও, চোরা শিকারিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
অভিযানের বিস্তারিত
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে কপোতাক্ষ নদীর ঘড়িলাল বাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সন্দেহভাজন একটি ডিঙ্গি নৌকা দেখে বন রক্ষীরা ধাওয়া করলে চোরা শিকারিরা নৌকা ফেলে গভীর বনে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে হরিণের মাংস ও শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আইনি ব্যবস্থা ও মাংস ধ্বংস
কোবাদক ফরেস্ট স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত হরিণের মাংস কয়রা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে মাটিচাপা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। শিকারিদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
শিকারিদের পিছনে শক্তিশালী চক্র?
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, সুন্দরবনে চোরা শিকারিরা একটি শক্তিশালী চক্রের সহায়তায় হরিণ শিকার করে আসছে। এর আগে একাধিকবার হরিণের মাংস উদ্ধার হলেও কোনো শিকারি আটক হয়নি, যা রহস্যজনক।
নিয়মিত টহল ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
বন বিভাগ জানিয়েছে, সুন্দরবনে হরিণ শিকার রোধে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যাতে বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।
শেখ জাহাঙ্গীর কবির টুলু
বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা জেলা