জগন্নাথপুরে ফসল রক্ষা বাঁধে সাইনবোর্ড নেই, বালু মাটি দিয়ে চলছে নিম্নমানের কাজ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওর, মইয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে ফসল রক্ষা বেরী বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ফসল রক্ষার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ইতোমধ্যে ৩৯টি পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠন করেছে। তবে প্রকল্প এলাকায় এখনও পর্যন্ত সাইনবোর্ড স্থাপন না করায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

জগন্নাথপুরে ফসল রক্ষা বাঁধে সাইনবোর্ড নেই, বালু মাটি দিয়ে চলছে নিম্নমানের কাজ

জগন্নাথপুরে ফসল রক্ষা বাঁধে সাইনবোর্ড নেই, বালু মাটি দিয়ে চলছে নিম্নমানের কাজ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওর, মইয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে ফসল রক্ষা বেরী বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। ফসল রক্ষার এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ইতোমধ্যে ৩৯টি পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠন করেছে। তবে প্রকল্প এলাকায় এখনও পর্যন্ত সাইনবোর্ড স্থাপন না করায় স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ

সরেজমিনে সোনাতলা এলাকার ৩৭ নম্বর পিআইসি ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনে দেখা যায়, বালি মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করেন, বালি মাটি দিয়ে তৈরি এ ধরনের বাঁধ আগাম বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে সক্ষম নয়। কৃষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, নিম্নমানের এ কাজের কারণে তাদের কষ্টার্জিত ফসল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, সাইনবোর্ড তৈরির কাজ চলছে এবং বালি মাটি দিয়ে কাজের অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

পিআইসি সভাপতির প্রতিক্রিয়া

৩৭ নম্বর পিআইসির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল হোসেন জানান, বালি মাটি দিয়ে কাজের অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।

স্থানীয়দের প্রত্যাশা

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ মানসম্মতভাবে সম্পন্ন করার পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি