খুলনার কয়রায় ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আলোচনায় ইউপি সদস্য আজিজ সরদার

খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আজিজ সরদারের বিরুদ্ধে ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তিন হতদরিদ্র নারী, যারা ভিজিডি কার্ডধারী।

খুলনার কয়রায় ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আলোচনায় ইউপি সদস্য আজিজ সরদার

খুলনার কয়রায় ভিজিডি চাল আত্মসাতের অভিযোগে আলোচনায় ইউপি সদস্য আজিজ সরদার

খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আজিজ সরদারের বিরুদ্ধে ভিজিডি (ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) কর্মসূচির বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় তিন হতদরিদ্র নারী, যারা ভিজিডি কার্ডধারী।

অভিযোগের বিবরণ

ভুক্তভোগী নাজমুল শেখের স্ত্রী হামিদা, মুর্শিদ সরদারের স্ত্রী ফারজানা এবং রফিকুল সরদারের স্ত্রী নার্গিস জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য তাদের বরাদ্দকৃত চাল ইউপি সদস্য আজিজ সরদার আত্মসাৎ করেছেন। তারা অভিযোগ করেন, গত দুই বছর ধরে চাল উত্তোলনে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের বরাদ্দ অস্বীকার করা হচ্ছে। এমনকি তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

প্রশাসনিক পদক্ষেপ

ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীরা ২৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তালিকা ও মাস্টার রোল যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযুক্তের অবস্থান

আজিজ মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া

এলাকার সাধারণ জনগণ এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, “দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ত্রাণ আত্মসাত অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রশাসনকে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

দাবি এবং প্রত্যাশা

ভুক্তভোগীরা তাদের বরাদ্দকৃত চাল ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্থানীয়রা আশা করছেন, প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ দুর্নীতি রোধে ভূমিকা রাখবে এবং হতদরিদ্রদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।

শেখ জাহাঙ্গীর করির টুলু