মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবির কর্মীসহ একই পরিবারের ৩ জন আ*হত
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শিবির কর্মীসহ একই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের রবিবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবির কর্মীসহ একই পরিবারের ৩ জন আ*হত
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শিবির কর্মীসহ একই পরিবারের তিনজন আ*হত হয়েছেন। আহতদের রবিবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার ঘটনা
স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সোমাদ্দারখালী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির মাদ্রাসা শাখা কমিটির সহ-সভাপতি আল আমিন জোমাদ্দার (১৬), তার পিতা মাদ্রাসা বাজার জামে মসজিদের ইমাম ইয়াসিন জোমাদ্দার (৪৫) এবং ফুফু সেলিনা বেগম (৪৫) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন।
স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম জোমাদ্দার ও তার নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আল আমিন বাঁধা দিতে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তার পিতা ও ফুফু বাধা দিলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহতদের অভিযোগ
আহত আল আমিন জোমাদ্দার অভিযোগ করে বলেন, "আমাদের ৩ বিঘার মৎস্য ঘের থেকে প্রতিবেশী ইব্রাহিম জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাকে বাধা দিলে তারা দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। ইব্রাহিম স্থানীয় প্রভাবশালী এবং তার মাধ্যমে এলাকায় অনেক অন্যায় হয়। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।"
শিবির নেতার প্রতিক্রিয়া
জিউধরা ইউনিয়ন ছাত্রশিবির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, আল আমিন তাদের দলের সক্রিয় কর্মী। তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাকিব হাসান বলেন, "হামলার বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি: আবু মুসা