রাজশাহীতে ডাকাতির চেষ্টাকালে জনতার গণধোলাই, আটক ২
রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন তালাইমারী এলাকায় দুঃসাহসিক ডাকাতি ও লুটপাটের চেষ্টা চালানো হয়েছে। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে দুইজন সন্দেহভাজন ডাকাত আটক হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রাজশাহীতে ডাকাতির চেষ্টাকালে জনতার গণধোলাই, আটক ২
রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানাধীন তালাইমারী এলাকায় দুঃসাহসিক ডাকাতি ও লুটপাটের চেষ্টা চালানো হয়েছে। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে দুইজন সন্দেহভাজন ডাকাত আটক হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিস্তারিত
তারিখ: শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সময়: ভোর সাড়ে ৫টা
স্থান: তালাইমারী কাঁচা বাজার সংলগ্ন একটি বাড়ি, মতিহার থানা, রাজশাহী
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল সশস্ত্র ডাকাত বাড়িতে প্রবেশ করে লুটপাটের চেষ্টা করে। স্থানীয়রা টের পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললে তাহামিদ ইসলাম (২৬) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। তিনি নগরীর সাগর পাড়ার বাসিন্দা মো. তৌফিকুল ইসলামের ছেলে।
সন্দেহভাজনদের পরিচয়
✔️ তাহামিদ ইসলাম (২৬) – আটক
✔️ উম্মে হানী শিলা – অভিযুক্ত (বিনোদপুরের আবু সাহাদাৎ সায়েমের স্ত্রী)
✔️ মিলন – অভিযুক্ত (বিনোদপুর বাজার এলাকার হাসান আলীর সন্তান)
ভুক্তভোগী ও তাদের অভিযোগ
ভুক্তভোগী মো. এজাজুল হক (৬৯) মতিহার থানায় দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করেন:
সালাউদ্দিন রাজুর হুকুমে ডাকাত দল তার বাড়িতে প্রবেশ করে।
তারা নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচয়ে বাসার সবাইকে বাইরে আসতে বলে।
তাহামিদ ইসলাম এজাজুল হকের চোখে ঘুষি মারেন এবং মিলন এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।
পরিবারের সদস্যদের শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়, বিশেষ করে তার ভাই এনামুল হক (৭০) ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বোন মাসুদা খাতুন (৫৫)-এর ওপর হামলা চালানো হয়।
অভিযুক্তরা নারীদের প্রতি অনভিপ্রেত আচরণের চেষ্টা করে এবং এক শিশুকে ভয় দেখায়।
তারা ১৯ ভরি স্বর্ণ, ৯ লক্ষ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন লুট করে।
পুলিশের পদক্ষেপ
মতিহার থানার ওসি মো. আব্দুল মালেক জানান:
✔️ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
✔️ অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
✔️ আটক দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
এলাকাবাসী অপরাধীদের ধরতে সাহসিক ভূমিকা রাখায় প্রশংসিত হয়েছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
সাগর নোমানী, রাজশাহী ব্যুরো