খুলনার কয়রায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭৬ জনের বিরুদ্ধে হ*ত্যা চেষ্টার মামলা, তদন্ত করবে পিবিআই

খুলনার কয়রা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৭৬ জনের বিরুদ্ধে হ*ত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগ আগের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন উপজেলার ৫ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক শেখ (৫৭), যিনি পেশায় একজন জেলে।

খুলনার কয়রায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭৬ জনের বিরুদ্ধে হ*ত্যা চেষ্টার মামলা, তদন্ত করবে পিবিআই

খুলনার কয়রায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৭৬ জনের বিরুদ্ধে হ*ত্যা চেষ্টার মামলা, তদন্ত করবে পিবিআই

খুলনার কয়রা উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ ৭৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীর্ঘ এক যুগ আগের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন উপজেলার ৫ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা ফারুক শেখ (৫৭), যিনি পেশায় একজন জেলে।

আদালতের নির্দেশ

কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন

মামলার বিবরণ

মামলা নম্বর: সিআর মামলা ৬৭/২৫
অভিযুক্ত: ৭৬ জন এবং ৬০-৭০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন: জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী ও শিক্ষক

উল্লেখযোগ্য আসামিরা

এসএম শফিকুল ইসলাম – কয়রা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান
এসএম বাহারুল ইসলাম – উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান
নুরুল ইসলাম সরদার – উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান
আব্দুস সাত্তার পাড় – উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক বাগালি ইউপি চেয়ারম্যান
নিশীত রঞ্জন মিস্ত্রী – কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
কমলেশ কুমার সানা – কয়রা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান
আমির আলী গাইন – সাবেক আমাদি ইউপি চেয়ারম্যান
অ্যাডভোকেট কেরামত আলী ও অ্যাডভোকেট আরাফাত হোসেন
আমিনুর রহমান বাদল – কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কবির সম্রাট ও হুমায়ুন কবির – কয়রা রিপোর্টার্স ইউনিটের সভাপতি ও তার ভাই

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কয়রার দেউলিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাদী ফারুক শেখ একটি জামায়াতের মিছিল দেখেন। এসময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা এসএম শফিকুল ইসলাম ও এসএম বাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হামলা চালান

হামলার বিস্তারিত:
গুলি ও লাঠিচার্জ করা হয়
ফারুক শেখ গুলিবিদ্ধ হন, তার মেরুদণ্ড ভেঙে যায়
নাড়ি বেরিয়ে আসে ও তিনি অজ্ঞান হয়ে যান
আসামিরা হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়
গোপনে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন ও দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হন

বাদীর বক্তব্য

ফারুক শেখ বলেন:
"তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকায় মামলা করতে পারিনি। এখন উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাই ন্যায়বিচারের আশায় মামলা করেছি।"

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক বলেন:
"আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। আগামী ২০ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। আমরা আশাবাদী, ন্যায়বিচার পাবো।"

জনগণের দাবি ও প্রশাসনের ভূমিকা

 মামলাটি পিবিআই তদন্ত করবে
 বাদী ফারুক শেখ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন
 এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে

বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেখ জাহাঙ্গীর কবির টুলু