কবি হেলাল হাফিজের মৃ*ত্যুতে সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল এর শো*ক।
বিখ্যাত ও দেশপ্রেমী কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে গভীর শোকও সমবেদনা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১২ পটিয়ার সংসদীয় আসনের সাবেক একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য
কবি হেলাল হাফিজের মৃ*ত্যুতে সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল এর শো*ক।
বিখ্যাত ও দেশপ্রেমী কবি হেলাল হাফিজের মৃ*ত্যুতে গভীর শোকও সমবেদনা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১২ পটিয়ার সংসদীয় আসনের সাবেক একাধিকবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, জননেতা আলহাজ্ব গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল। গাজী শাহজাহান জুয়েল এক শোকবার্তায় কবি হেলাল হাফিজের রূহের মাগফিরাত করেন এবং শোকাহাত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।শোকবার্তায় আলহাজ্ব গাজী শাহজাহান জুয়েল বলেন -আমার প্রিয় কবি হেলাল হাফিজের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্য এবং তাঁর অগণিত ভক্তদের মতো আমিও গভীর শোকাহত।
বাংলা সাহিত্যের এই কালজয়ী কবি গতকাল পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে অনন্তলোকে যাত্রা করেছেন।
তাঁর জীবন ছিল এক নিঃসঙ্গ কিন্তু অনন্য পথচলা, যেখানে প্রেম, দ্রোহ, এবং বেদনাকে একসূত্রে গেঁথে তিনি বাংলা কবিতার আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলেন।
হেলাল হাফিজ জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর, নেত্রকোণার এক গ্রামে। তিনি একাধারে কবি, সম্পাদক এবং সাংবাদিক ছিলেন।
তাঁর লেখালেখির জীবন শুরু হয় ষাটের দশকে। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত “যে জলে আগুন জ্বলে” শীর্ষক তাঁর একমাত্র কবিতার বই বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি।
একমাত্র কবিতার বই দিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর কবিতাগুলোতে প্রেমের অনুরণন যেমন তীব্র, তেমনি দ্রোহের আগুনও ছিল প্রজ্বলিত। তিনি তাঁর জীবন এবং সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে প্রতিটি পাঠকের হৃদয়ে দাগ কেটে গেছেন।
হেলাল হাফিজের জীবন ছিল নিঃসঙ্গতায় মোড়া। ব্যক্তি জীবনে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি নিজের সৃষ্টিকে ধরে রেখেছিলেন। তিনি প্রথাগত জীবনের সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে প্রেমকে ধারণ করেছেন এক অসীম উচ্চতায়।
তাঁর কবিতায় প্রেম মানে ছিল আত্মার গভীরতম অভিব্যক্তি, যেখানে শারীরিক সম্পর্কের চেয়ে মানসিক ও আত্মিক সংযোগ ছিল মুখ্য।
“হেলেন” নামে এক কাল্পনিক চরিত্র ছিল তাঁর কবিতার কেন্দ্রবিন্দু। এই হেলেন একদিকে প্রেমের উৎস, অন্যদিকে বেদনার প্রতীক। তিনি নিজের একাকীত্বকে এমনভাবে ধারণ করেছিলেন যে, তা আজকের স্বার্থপর পৃথিবীর জন্য এক বিরল শিক্ষার উদাহরণ হয়ে থাকবে।
হেলাল হাফিজের কবিতাগুলোতে প্রেম, দ্রোহ এবং বেদনার মিশ্রণ পাওয়া যায়। তাঁর বিখ্যাত লাইন—
“এখন যৌবন যার, মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়,”
এই পঙক্তি তাঁকে যুগের অন্যতম দ্রোহী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
এছাড়া তাঁর কবিতায় মানবিকতা, নিঃসঙ্গতা এবং আত্মার ব্যথার গভীর অনুরণন পাওয়া যায়, যা তাঁকে অমর করে রেখেছে।
আমার প্রিয় কবির প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। একজন কবিকে হারানো মানে শুধু একজন লেখককে হারানো নয়, বরং হারানো এক জীবন্ত চেতনা, যিনি ভাষার গভীরে মানুষের আবেগকে ধারণ করেছেন।
আমি প্রার্থনা করি যে, তিনি পরকালেও এমন শান্তি এবং প্রেমের আশ্রয় লাভ করুন, যেটি তিনি তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
আমি আশা করি,ভক্তের হৃদয়ে তিনি চিরজাগরুক থাকবেন। তাঁর কবিতা আমাদের পথ দেখাবে এবং অনুভূতির গভীরে আলো জ্বালাবে।
“ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
আল্লাহ তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন।
মোঃহাসানুর জামান বাবু,চট্টগ্রাম