কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জ শহরের খড়মপট্টিস্থ বাসায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর এ হামলা চালানো হয়।

কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জ শহরের খড়মপট্টিস্থ বাসায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার পর এ হামলা চালানো হয়।
বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের বিস্তারিত
বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়। এরপর রাত ৮টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এর আগে, দুপুরের দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি চৌরাস্তা মোড়ে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ চার নেতার ম্যুরাল এস্কেভেটর দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া, বাজিতপুর উপজেলায় সাবেক চার রাষ্ট্রপতির ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান—
"আমরা ফ্যাসিবাদের চিহ্ন রাখতে চাই না। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দুঃশাসন রুখে দেওয়া হবে।"
"শেখ মুজিবের ম্যুরাল ধ্বংসের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া হবে।"
কিশোরগঞ্জে টানা বুলডোজার কর্মসূচি
বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে পাকুন্দিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ধ্বংস করা হয়।
বাজারের দোকান মালিকরা আতঙ্কে তাদের মালামাল সরিয়ে নেন।
কেন বিক্ষোভ?
"শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে"— এমন অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রনেতারা।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণের প্রতিবাদ হিসেবে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভবন ভাঙচুর করা হয়।
"বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন" দাবি করছে, তারা স্বৈরাচারী শাসনের চিহ্ন মুছে ফেলবে।
সারাদেশে আওয়ামী লীগবিরোধী আন্দোলনের ছড়িয়ে পড়া
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও ম্যুরাল ভাঙচুর চলছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে “পাবলিক টয়লেট” লিখে দেওয়া হয়েছে।
নিজাম উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি