খুলনার কয়রার উত্তর বেদকাশির ঘটনায় মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে জামায়াতের বিবৃতি
খুলনার কয়রা উপজেলায় সম্প্রতি "ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট, স্কুল শিক্ষককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ" শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কয়রা উপজেলা শাখা।
খুলনার কয়রার উত্তর বেদকাশির ঘটনায় মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে জামায়াতের বিবৃতি
খুলনার কয়রা উপজেলায় সম্প্রতি "ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট, স্কুল শিক্ষককে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ" শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কয়রা উপজেলা শাখা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
বুধবার (২০ নভেম্বর) কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান এবং সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংবাদে বর্ণিত উত্তর বেদকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক বিএম হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে প্রচারিত ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ঘটনার প্রকৃত বিবরণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বর্ষীয়ান জামায়াত নেতা ডা. শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার কারণে হুমায়ুন কবীরের নিজ গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সমাধানে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের নির্দেশে, হুমায়ুন কবীরকে কার্যালয়ে ডেকে বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়। বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপন কুমার কর্মকার, এবং থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত
বৈঠকে শিক্ষক হুমায়ুন কবীর তার ভুল স্বীকার করেন এবং সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টটি মুছে ফেলেন। ভবিষ্যতে এমন মানহানিকর পোস্ট থেকে বিরত থাকার জন্য তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকেই বিষয়টি নিঃস্পত্তি করা হয়।
জামায়াতের অভিযোগ
পত্রিকায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য পরিবেশিত হওয়ায় উপজেলা জামায়াতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ। তারা এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।