না মরে বেঁচে আছে পাটকেলঘাটার মুনিয়া আক্তার মুন্নি

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার মুনিয়া আক্তার মুন্নি, বয়স মাত্র ১৩। মেধাবী এই শিক্ষার্থী কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। মায়ের অদম্য প্রেরণায় এখনও বেঁচে থাকা মুন্নি জীবনের চরম সংগ্রামে লড়াই করছে।

না মরে বেঁচে আছে পাটকেলঘাটার মুনিয়া আক্তার মুন্নি

না মরে বেঁচে আছে পাটকেলঘাটার মুনিয়া আক্তার মুন্নি

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার মুনিয়া আক্তার মুন্নি, বয়স মাত্র ১৩। মেধাবী এই শিক্ষার্থী কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃ*ত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। মায়ের অদম্য প্রেরণায় এখনও বেঁচে থাকা মুন্নি জীবনের চরম সংগ্রামে লড়াই করছে।


মুন্নির জীবন সংগ্রাম

মুনিয়া আক্তার মুন্নি পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের আব্দুর রউফ মোড়লের মেয়ে। মাত্র ১৩ দিন বয়সে বাবা তাদের ছেড়ে চলে যান এবং অন্যত্র বিবাহ করেন। মা পারভীন সুলতানা মেয়ে মুন্নিকে নিয়ে মোবারকপুরে নানার বাড়িতে বাস করছেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে এবং নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও মুন্নির লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মুন্নি পড়াশোনা করে শহীদ কামেল মডেল হাই স্কুলে, যেখানে সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তবে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে। এক কিডনি পুরোপুরি নষ্ট এবং অন্যটির অবস্থাও সংকটাপন্ন।


চিকিৎসার জরুরি প্রয়োজন

মেডিকেল পরীক্ষায় দেখা গেছে, মুন্নির শরীরের ওজন কমে যাচ্ছে, ক্ষুধা ও ঘুম কমে গেছে, এবং সে অত্যন্ত দুর্বল। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মানস কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, "খুব দ্রুত অপারেশন না করা গেলে মুন্নিকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।"

মুন্নির মা জানান, চিকিৎসার খরচ মেটাতে পরিবারের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে ওষুধ কেনার সামর্থ্যও নেই।


মায়ের আকুতি এবং মুন্নির স্বপ্ন

মুন্নির মা বলেন,
"আমার মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়া হয়তো সম্ভব নয়।"

মুন্নি জানায়,
"আমার সহপাঠীদের মতো সুস্থ হয়ে বাঁচতে চাই। মায়ের কথা ভেবে খুব খারাপ লাগে। বাবার কোনো সাহায্য পাই না। আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন, কিন্তু কে দেবে এত টাকা?"


বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহযোগিতা

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী জাহিদুর রহমান বলেন,
"মুন্নি আমাদের খুব প্রিয় ছাত্রী। তার এই চাঞ্চল্যতা এবং প্রাণশক্তি দেখে আমরা তাকে সাহায্য করতে চাই।"

প্রতিবেদন: আলমগীর হোসেন, পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি