প্রয়োজনীয় তদারকি ও পদক্ষেপ দরকার: চলনবিল অঞ্চলের নদ-নদী রক্ষায়
দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিল, যা পাবনা, নাটোর, এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে অবস্থিত। চলনবিলের বুক চিরে বয়ে গেছে অসংখ্য নদী-নালা ও খাল-বিল। পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার গুমানী ও বড়াল নদী চলনবিলের অন্যতম প্রধান নদী। তবে প্রতিবছর এই নদীগুলোর তলদেশ পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। চলনবিলের নদীগুলোর তলদেশ সমতল করে স্থানীয় কৃষকেরা বোরো ধান এবং অন্যান্য শস্যের বীজতলা তৈরির কাজে ব্যবহার করছেন। এমনকি নদীর ঢালু অংশ কেটে জমি সমান করে চাষাবাদও করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধভাবে খাল, নদী এবং জলাশয় ভরাট করে দখল করে নিচ্ছেন। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় তদারকি ও পদক্ষেপ দরকার: চলনবিল অঞ্চলের নদ-নদী রক্ষায়
দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিল, যা পাবনা, নাটোর, এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে অবস্থিত। চলনবিলের বুক চিরে বয়ে গেছে অসংখ্য নদী-নালা ও খাল-বিল। পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার গুমানী ও বড়াল নদী চলনবিলের অন্যতম প্রধান নদী। তবে প্রতিবছর এই নদীগুলোর তলদেশ পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
চলনবিলের নদীগুলোর তলদেশ সমতল করে স্থানীয় কৃষকেরা বোরো ধান এবং অন্যান্য শস্যের বীজতলা তৈরির কাজে ব্যবহার করছেন। এমনকি নদীর ঢালু অংশ কেটে জমি সমান করে চাষাবাদও করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধভাবে খাল, নদী এবং জলাশয় ভরাট করে দখল করে নিচ্ছেন। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
চলনবিলের নদ-নদী রক্ষায় যথাযথ প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানো এবং অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী দাবি জানাচ্ছেন, এই অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষায় সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
বিশেষজ্ঞ মতামত
এ বিষয়ে কথা হয় গ্রিনপিস বাংলা পাবনা জেলা শাখার সভাপতি ও পরিবেশ কর্মী প্রফেসর সরদার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আকাশ এর সাথে। তিনি বলেন, "অসাধু ব্যক্তিরা নদী দখল এবং মাটি উত্তোলনের মাধ্যমে পরিবেশের বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকেরা অজ্ঞতার কারণে নদীর ঢালু অংশ কেটে বীজতলা তৈরি করছেন। তবে এ অবস্থা রোধ করতে প্রশাসন এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।"
তিনি আরও বলেন, "পরিবেশ রক্ষায় সরকারি প্রশাসন এবং বিভিন্ন সংগঠনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই চলনবিলের নদী এবং পরিবেশ রক্ষা সম্ভব।"
এলাকাবাসীর দাবি
নদীর তলদেশ সমতল করা, অবৈধ দখল, এবং মাটি উত্তোলনের মতো কার্যক্রম রোধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। এছাড়া স্থানীয় সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা এবং নদীগুলোর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া জরুরি।
চলনবিলের নদ-নদী রক্ষা করা শুধু স্থানীয় এলাকার পরিবেশ নয়, বরং জাতীয় সম্পদ রক্ষারও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
(পাবনা জেলা প্রতিনিধি - এস এম এম আকাশ)