সাতক্ষীরার ফসলি জমিতে হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা

সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে সরিষার হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। জমির পর জমি এখন যেন হলুদের গালিচায় পরিণত হয়েছে। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এই সরিষার সমারোহ। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করছে, যা কৃষকের জন্য একটি বাড়তি আনন্দের উৎস হয়ে উঠেছে।

সাতক্ষীরার ফসলি জমিতে হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা

সাতক্ষীরার ফসলি জমিতে হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষা


সাতক্ষীরার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে সরিষার হলুদ ফুলে ভরে উঠেছে। জমির পর জমি এখন যেন হলুদের গালিচায় পরিণত হয়েছে। কৃষকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে এই সরিষার সমারোহ। মৌমাছিরা ফুলে ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করছে, যা কৃষকের জন্য একটি বাড়তি আনন্দের উৎস হয়ে উঠেছে।

সরিষা চাষের তথ্য ও পরিসংখ্যান

সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এবার সরিষার আবাদ আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,

  • কলারোয়া উপজেলায়: ১৮৭০ হেক্টর
  • আশাশুনি উপজেলায়: ১৬৫০ হেক্টর
  • কালিগঞ্জ উপজেলায়: ১৯৮০ হেক্টর
  • শ্যামনগর উপজেলায়: ১৫৭০ হেক্টর
  • দেবহাটা উপজেলায়: ১৭৫০ হেক্টর

সরকারি সহযোগিতার অংশ হিসেবে স্থানীয় কৃষি অফিসগুলো থেকে বিনামূল্যে ২১০০ জন কৃষকদের সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে সরিষার আবাদ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

সরিষার বিভিন্ন জাত

সাতক্ষীরার কৃষকরা বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৮, বিনা-৯ এবং স্থানীয় জাতের সরিষা চাষ করেছে। উপকূলীয় উর্বর জমি হওয়ায় এ বছর সরিষার উৎপাদন আশানুরূপ হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন।

কৃষকদের অভিজ্ঞতা

দেবহাটা উপজেলার কাজীমহল্লার সরিষা চাষী আকবার আলী বিটলু, তিলকুড়ার মোহাব্বত আলী, মোহাম্মদপুরের আলী, কালিগঞ্জ উপজেলার আখতারুল ইসলাম ডাবলু, কলারোয়ার দেবাশীষ কুমার বিশ্বাস, আশাশুনির রঞ্জন কুমার ঘোষ এবং শ্যামনগরের সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন যে, তাদের জমিতে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে।

চাষে সময়ের চ্যালেঞ্জ

দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শওকত ওসমান জানান, ধান কাটতে দেরি হওয়ায় কিছু এলাকায় সরিষার চাষে দেরি হয়েছে। কৃষকদের যদি আগাম জাতের ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করা যায়, তাহলে তারা ধান কাটার পর সময়মতো সরিষার চাষ করতে পারবেন। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের নিচু জমিতে মাটিতে জো আসতে দেরি হওয়ায় সরিষা বপনেও দেরি হয়।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় এড়ানোর প্রত্যাশা

জেলার প্রতিটি উপজেলায় এবছর সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় না ঘটলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন।

সার্বিক বিশ্লেষণ

সরিষার আবাদ সাতক্ষীরার কৃষকদের জন্য লাভজনক হতে পারে, যা তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। সরিষা চাষের এই প্রবণতা এবং সরকারের সহায়তামূলক কার্যক্রম স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করছে।

রিয়াজুল ইসলাম আলম, সাতক্ষীরা