কিশোরগঞ্জে ৭৩১ কোটি টাকার বাইপাস প্রকল্প বন্ধ, অসুবিধার শিকার স্থানীয় এলাকাবাসী

কিশোরগঞ্জ শহরের যানজট কমাতে এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হাওর অঞ্চলে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ছয় বছর আগে। কিন্তু, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কাজটি অদৃশ্য হয়ে পড়েছে এবং কিশোরগঞ্জ শহরের মানুষ প্রতিদিনই যানজটে ভুগছেন। প্রকল্পটির আওতায় কিশোরগঞ্জ শহরের বাইপাস সড়ক নির্মাণসহ দুটি প্রধান সড়ক উন্নয়ন কাজের কথা ছিল। তবে জমি অধিগ্রহণ এবং মাটি ভরাটের কাজ ছাড়া মূল নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারেনি। এর ফলে শহরের ভেতরের রাস্তাগুলোতে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যা বিশেষ করে হাওর অঞ্চল থেকে আসা লোকজনের জন্য দুঃখজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই যানজটের কারণে শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত করা হয়ে উঠছে একে একে প্রায় অসম্ভব।

কিশোরগঞ্জে ৭৩১ কোটি টাকার বাইপাস প্রকল্প বন্ধ, অসুবিধার শিকার স্থানীয় এলাকাবাসী

কিশোরগঞ্জে ৭৩১ কোটি টাকার বাইপাস প্রকল্প বন্ধ, অসুবিধার শিকার স্থানীয় এলাকাবাসী

কিশোরগঞ্জ শহরের যানজট কমাতে এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও হাওর অঞ্চলে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ছয় বছর আগে। কিন্তু, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কাজটি অদৃশ্য হয়ে পড়েছে এবং কিশোরগঞ্জ শহরের মানুষ প্রতিদিনই যানজটে ভুগছেন।

প্রকল্পটির আওতায় কিশোরগঞ্জ শহরের বাইপাস সড়ক নির্মাণসহ দুটি প্রধান সড়ক উন্নয়ন কাজের কথা ছিল। তবে জমি অধিগ্রহণ এবং মাটি ভরাটের কাজ ছাড়া মূল নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারেনি। এর ফলে শহরের ভেতরের রাস্তাগুলোতে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যা বিশেষ করে হাওর অঞ্চল থেকে আসা লোকজনের জন্য দুঃখজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই যানজটের কারণে শহীদ সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অন্যান্য জায়গায় যাতায়াত করা হয়ে উঠছে একে একে প্রায় অসম্ভব।

প্রকল্পের অগ্রগতি এবং সমালোচনা

প্রকল্পের সময়সীমা ২০১৯ সালের নভেম্বরে শেষ হয়ে গেলেও, প্রকল্পের আওতায় মাত্র ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, যা সড়ক নির্মাণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা যাচ্ছিল না। কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, জমি অধিগ্রহণ এবং মাটি ভরাটের কাজ হলেও সঠিক সময়মত নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

প্রতিদিনের ভোগান্তি

শহরের বাসিন্দারা জানান, বাইপাস সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় সড়কটি মেরামত করা না হওয়ায় তাদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। শীতকালে ধুলাবালি এবং বর্ষায় কাদা জমে যাওয়ায় চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ী এবং মুমূর্ষু রোগীদের জন্যও বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট।

সুলতান মিয়া, যিনি জমি অধিগ্রহণের পর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, বলেন, “ধুলার কারণে আমাদের ফসল এবং মৎস্য খামার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

প্রকল্পের ভবিষ্যৎ

এই প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জেলা সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, “বাইপাস সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা বাস্তবায়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি, যা স্থানীয় জনগণের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

এদিকে, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি ম. ম জুয়েল বলেন, "প্রকল্পের বাস্তবায়ন ধীরগতি দেখানো হলে জনগণের সেবা বাস্তবে পরিণত হবে না, এবং রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় হবে।”

প্রকল্পের জন্য নতুন উদ্যোগ

কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। যদি তা মঞ্জুর হয়, তবে প্রকল্পটি সম্পন্ন হতে আরও দুই বছর সময় নেয়া হবে।

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:নিজাম উদ্দীন