সাংবাদিক মিশন সন্ত্রাসী হামলার শিকার

পাবনার ঈশ্বরদীতে সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশনের ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঈশ্বরদী পৌরসভার নূরমহল্লা এলাকার কোহিনুর বেকারির সামনে পাকা রাস্তায় এ হামলা হয়।

সাংবাদিক মিশন সন্ত্রাসী হামলার শিকার

সাংবাদিক মিশন সন্ত্রাসী হামলার শিকার

পাবনার ঈশ্বরদীতে সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশনের ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঈশ্বরদী পৌরসভার নূরমহল্লা এলাকার কোহিনুর বেকারির সামনে পাকা রাস্তায় এ হামলা হয়।

সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান মিশন জাতীয় দৈনিক বিজয় পত্রিকা এবং সাপ্তাহিক চলনবিলের আলো পত্রিকার ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সদস্য

হামলার ঘটনায় মিশনের স্ত্রী বিথী বেগম বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নামগুলো হলো:

  1. মো. জুয়েল (পিতা-মো. ইয়াছিন)
  2. মো. নয়ন (পিতা-মৃত বোদা)
  3. মো. সোহেল (পিতা-মৃত আমিরুল)
  4. মো. সেলিম (পিতা-মো. রহমান)
  5. মো. সোহাগ (পিতা-মো. মঞ্জুর)
  6. মো. বনি (পিতা-মো. ওবায়দুর)

এছাড়া অভিযোগে আরও ৫-৭ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে উল্লেখ করা হয়েছে।

হামলার বিবরণ

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে সাংবাদিক মিশন পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তার পথ রোধ করে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের হাতে থাকা লাঠি, রড, রামদা, হাসুয়া, এবং লোহার হাতুড়ি দিয়ে মিশনের শরীরে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়।

গুরুতর হামলার বিবরণ:

  • ১নং আসামী জুয়েল ধারালো হাসুয়া দিয়ে মাথায় কোপ দিতে গেলে মিশন সরিয়ে নিলে তা বাম চোখের ওপর লাগে।
  • ২নং আসামী নয়ন রামদা দিয়ে আঘাত করলে মিশনের বাম হাতে কাটা জখম হয়।
  • ৩নং আসামী সোহেল লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
  • ৪নং আসামী সেলিম হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ফোলা ও থেঁতলানো জখম হয়।
  • ৫নং আসামী সোহাগ জিআই পাইপ দিয়ে পাঁজরে আঘাত করে।

এছাড়া হামলাকারীরা মিশনের পকেট থেকে নগদ ১৪,৩০০ টাকা চুরি করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মিশনকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে, তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, "লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।"

মোঃ শাহিনুর রহমান আকাশ
নিজস্ব প্রতিনিধি