কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি বয়কট করলো ২০২৪ সেশনের একাংশ
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ঘোষিত নতুন কমিটিকে বয়কট করেছে ২০২৪ সেশনের ১০ জন দায়িত্বশীল নেতা। তাদের অভিযোগ, গোপনীয়তার সাথে ও অযোগ্য নেতৃত্ব চাপিয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটি বয়কট করলো ২০২৪ সেশনের একাংশ
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার ঘোষিত নতুন কমিটিকে বয়কট করেছে ২০২৪ সেশনের ১০ জন দায়িত্বশীল নেতা। তাদের অভিযোগ, গোপনীয়তার সাথে ও অযোগ্য নেতৃত্ব চাপিয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বয়কটকারী ১০ জন দায়িত্বশীল:
যুগ্ম আহ্বায়ক এনায়েতুল্লাহ এনায়েত
সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম হামীম
আহমাদুল্লাহ বিন ফরিদ
খাইরুল ইসলাম
তাকরীয় আহমাদ
আতিকুর রহমান মুজাহিদ
মাহবুবুর রহমান
সাব্বির আহমাদ
শফিকুল ইসলাম নোমানী
আব্দুর রহমান রিমন
বয়কটের কারণ:
২০২২ সাল থেকে কিশোরগঞ্জের ইসলামী ছাত্র আন্দোলনকে পরিকল্পিতভাবে নেতৃত্বশূন্য করার চেষ্টা চলছে।
২০২৪ সেশনের দায়িত্বশীলদের মতামত উপেক্ষা করে অযোগ্য ব্যক্তিকে সভাপতি করা হয়েছে।
জেলা আমেলার ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন দায়িত্বশীল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা দিলেও কেন্দ্র তাদের পদভূত করে সাধারণ সদস্য ঘোষণা করে।
১৭ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি গোপনে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন, যা অধিকাংশ দায়িত্বশীল জানতেন না।
বয়কটকারী নেতারা মনে করেন, অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে অনৈতিকভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বয়কটকারীদের ঘোষণা:
এনায়েতুল্লাহ এনায়েত:
"যারা ছাত্র আন্দোলনকে বিতর্কিত করেছে, তাদের জাতির কাছে জবাব দিতে হবে।"
সদস্য সচিব হাফিজুল ইসলাম হামীম:
"বর্তমান কমিটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও লবিংয়ের মাধ্যমে তৈরি। আমরা শিগগিরই 'ছাত্র পারিষদ' ঘোষণা করবো এবং যারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, তাদের এই কাফেলায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।"
কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা:
সভাপতি: তানভীর আহমাদ
সহ-সভাপতি: মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম
সাধারণ সম্পাদক: মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া
উপস্থিত ছিলেন:
- ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ
- অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম
এই ঘোষণার পর ২০২৪ সেশনের ১০ জন দায়িত্বশীল নতুন কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করে বয়কট করেন।
প্রতিবেদন: নিজাম উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ