কয়রায় হরিণের মাংসসহ ২ জন আটক

খুলনার কয়রা উপজেলায় হরিণের মাংস পাচারের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে আমাদী ইউনিয়নের হলুদবুনিয়া গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

কয়রায় হরিণের মাংসসহ ২ জন আটক

কয়রায় হরিণের মাংসসহ ২ জন আটক

খুলনার কয়রা উপজেলায় হরিণের মাংস পাচারের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে আমাদী ইউনিয়নের হলুদবুনিয়া গ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন:

প্রভাষ মন্ডল (পিতা: বিমল কৃষ্ণ মন্ডল)
দেবদাস সানা (পিতা: অসিত সানা)

কীভাবে আটক করা হয়?

কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি জিএম ইমদাদুল হক) জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদী পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ মনিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হলুদবুনিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। প্রভাষ মন্ডলের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।

আইনানুগ ব্যবস্থা:

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হরিণের মাংস পুলিশের উপস্থিতিতে মাটিতে পুঁতে ধ্বংস করা হয়েছে।
আটক দুই ব্যক্তিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

হরিণ শিকার ও পাচারের ভয়াবহতা

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ অনুযায়ী বাংলাদেশে হরিণ শিকার, মাংস সংগ্রহ, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই হরিণ শিকার ও পাচারের ঘটনা ঘটে। প্রশাসনের অভিযানের পরও দুষ্কৃতকারীরা বিভিন্ন কৌশলে শিকার চালিয়ে যাচ্ছে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন,
"সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি, অবৈধ শিকার বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।"

সাধারণ জনগণের প্রতিক্রিয়া

কয়রার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অনেকে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধে লিপ্ত না হয়।
কিছু মানুষ দাবি করছেন, প্রশাসনের তদারকি আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

শেখ জাহাঙ্গীর কবির টুলু, বিশেষ প্রতিনিধি (খুলনা জেলা)