গোদাগাড়ী শ্রীপাঠ খেতুরীধামে অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ – পর্ব ১

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শ্রীপাঠ খেতুরীধাম-এ আবারও অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপদ সান্যালের ছত্রছায়ায় ম্যানেজার গোবিন্দ পাল বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করে আসছেন।

গোদাগাড়ী শ্রীপাঠ খেতুরীধামে অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ – পর্ব ১

গোদাগাড়ী শ্রীপাঠ খেতুরীধামে অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ – পর্ব ১

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার শ্রীপাঠ খেতুরীধাম-এ আবারও অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপদ সান্যালের ছত্রছায়ায় ম্যানেজার গোবিন্দ পাল বিভিন্নভাবে দুর্নীতি করে আসছেন।

 দুর্নীতির অভিযোগ

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভক্তদের সাথে অসৎ আচরণ, ১৫০ টাকা দরে প্রতি প্লেট প্রসাদ বিক্রি, মন্দিরের কর্মচারীদের বেতন নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা এবং মন্দিরের তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাতের মতো নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে ম্যানেজার গোবিন্দ পালের বিরুদ্ধে

বেশ কয়েক বছর আগে গরু পালনের নামে পশুপালন অফিস থেকে পাওয়া ২০,০০০ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন গোবিন্দ পাল। কিন্তু স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে পড়ে তিনি সেই টাকা শ্রীপাঠ খেতুরীধামের ফান্ডে জমা করতে বাধ্য হন। তখনকার সভাপতি বিষয়টি দেখভালের আশ্বাস দিলেও তিনি মারা যাওয়ার পর নতুন সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার আসার পর অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যায়। এরপর গোবিন্দ পাল আবারও দুর্নীতি শুরু করেন

 ট্রাস্টি বোর্ডের অভিযোগ

শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ দেব ট্রাস্ট বোর্ডের ট্রাস্টি সুনন্দন দাস রতন এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে বহুবার লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, ফলে গোবিন্দ পাল তার অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন

 ভুক্তভোগীদের বক্তব্য

ভুক্তভোগী সমর হালদার ও সুধীর পাল জানান, প্রসাদ পেতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে ১৫০ টাকা টোকেন কিনতে হয়। সমর হালদারের সন্তানের অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠানে ১৫০ জনের খাবারের টাকা নেওয়া হলেও মাত্র ৮০ জন ভালোভাবে প্রসাদ পান

চট্টগ্রাম থেকে আগত ভক্তরা প্রসাদ চাইলে গোবিন্দ পাল তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন

 অভিযুক্তদের প্রতিক্রিয়া

এ বিষয়ে ম্যানেজার গোবিন্দ পাল দাবি করেন, প্রসাদ বিক্রয়ের টাকা সম্পর্কে তাকে কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না, এবং সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক কখনো এই টাকার হিসাব চাননি

অন্যদিকে, সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার সাংবাদিকদের ফোনে হুমকি দেন এবং প্রশাসনিক ভয়-ভীতি দেখান। সাধারণ সম্পাদক শ্যামাপদ সান্যাল এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 স্টাফ রিপোর্টার