জগন্নাথপুরের সীমান্তবর্তী মহাসড়কে ডাকাতি: যাত্রীদের সর্বস্ব লুট
সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কোন্দানালা নামক স্থানে যাত্রীবাহী ২টি বাসসহ কয়েকটি যানবাহনে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
জগন্নাথপুরের সীমান্তবর্তী মহাসড়কে ডাকাতি: যাত্রীদের সর্বস্ব লুট
সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কোন্দানালা নামক স্থানে যাত্রীবাহী ২টি বাসসহ কয়েকটি যানবাহনে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাস্থল ও সময়
ডাকাতির এই ঘটনা ঘটে ২৩ জানুয়ারি, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে, জগন্নাথপুরের সীমান্তবর্তী পাগলা-জগন্নাথপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে।
ডাকাতির বর্ণনা
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২০-২৫ জনের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহাসড়কে গাছ ফেলে যানবাহনের পথরোধ করে।
- লুট করা যানবাহন:
- দুটি যাত্রীবাহী বাস (আল-মোবারক ও মামুন পরিবহন)।
- আরও দুটি ছোট যানবাহন।
- ডাকাতদের আক্রমণ:
- যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট।
- বাসের চালক ও যাত্রীদের মারধর করে।
- বেশ কয়েকজন আহত হন।
মনির হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন,
"ঢাকায় চিকিৎসার জন্য এক লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছিলাম। ডাকাতরা সব নিয়ে গেছে।"
আরেক যাত্রী রাসেল মিয়া জানান,
"ডাকাতরা মহিলাদের স্বর্ণালংকার পর্যন্ত লুট করেছে।"
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য
আলী হোসেন, এক প্রাইভেটকার চালক বলেন,
"ডাকাতি দেখে কলকলিয়া বাজারে গিয়ে স্থানীয়দের খবর দেই। পরে ডাকাতরা হাওরের দিকে পালিয়ে যায়।"
জগন্নাথপুরের জুবায়ের আহমদ বলেন,
"খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এই এলাকায় ২০০৬ সাল থেকে ডাকাতি বন্ধ ছিল। পুলিশ টহল না থাকায় আবার এমন ঘটনা ঘটছে।"
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কবির আহমদ জানান,
"আমরা ঘটনাস্থলে এসে একটি গাড়িতে ডাকাতির বিষয়ে জানতে পেরেছি। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।"
জগন্নাথপুর থানার ওসি রুহুল আমীন বলেন,
"ঘটনাস্থল আমাদের থানার অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি ছাতক থানার আওতায় পড়ে।"
মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি