মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

“মাছ ধরতেও গুনতে হয় চাঁদা” শিরোনামে জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘নাসিরনগর ইউনিয়ন ও ভিটাডুবী ধীবর সমবায় সমিতি’র কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

“মাছ ধরতেও গুনতে হয় চাঁদা” শিরোনামে জাতীয় দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘নাসিরনগর ইউনিয়ন ও ভিটাডুবী ধীবর সমবায় সমিতি’র কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য

গত ১৯ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সাধারণ জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে সমিতিকে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যরা এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন এবং প্রতিবেদনের তথ্যগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট বলে অভিহিত করেন।

গীতা রানি বলেন,

"প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে আমি নাকি লাখ টাকা ঋণ নিয়েছি এবং মাছ বিক্রি করে তা পরিশোধ করব। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি মাত্র ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য। সমিতির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি বরং সমিতি আমার চিকিৎসায় সহায়তা করেছে।"

হরিদাস বলেন,

"প্রতিবেদনে আমার বক্তব্য উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ কোনো সাংবাদিক আমার সঙ্গে কথা বলেননি।"

নাসিরনগর ইউনিয়ন ও ভিটাডুবী ধীবর সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল দাস বলেন,

"প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আমি সমিতির সভাপতি। কিন্তু আমি সাধারণ সম্পাদক। যে সাংবাদিক আমার পদ নিয়েই সঠিক তথ্য জানেন না, তার সংবাদ বস্তুনিষ্ঠ হতে পারে না। আমাদের সমিতি কখনো সাবলিজ প্রদান করে না। যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন,

"সমকাল পত্রিকার প্রতিবেদক মৃধা মোরাদ উৎকোচ দাবি করে না পেয়ে এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছেন।"

অতিরিক্ত তথ্য

পরিমল দাস বলেন,

"প্রতিবেদনে আমাকে সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং সাংবাদিক যার প্রভাবে এমন কাজ করেছেন, তার ভগ্নীপতি আব্দুর রহিম মাস্টার সাবেক মন্ত্রীর ভাগিনা পরিচয় দিতেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন।"

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এই মিথ্যা সংবাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

নিহারেন্দু চক্রবর্তী, নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া