করিমগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ মাঠ দখলের অভিযোগে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে প্রায় ২০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ মাঠ দখল করে মাছের খামার করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা আবু আনিস ফকির ও তার স্বজনেরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী শনিবার (২ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ১০টায় আতকাপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

করিমগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ মাঠ দখলের অভিযোগে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

করিমগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ মাঠ দখলের অভিযোগে এলাকাবাসীর সংবাদ সম্মেলন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে প্রায় ২০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী ঈদগাহ মাঠ দখল করে মাছের খামার করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা আবু আনিস ফকির ও তার স্বজনেরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী শনিবার (২ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল ১০টায় আতকাপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনের বিবরণ

আলোচনার সভাপতিত্ব করেন জিল্লুর রহমান, এবং সঞ্চালনা করেন আব্দুল আহাদ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা অভিযুক্তদের দখল কার্যক্রমের তীব্র প্রতিবাদ জানান।

সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন,

“এই চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা এই ঐতিহাসিক ঈদগাহ মাঠ রক্ষার দাবি জানাই।”

বাদল ফকির অভিযোগ করেন,

“আবু আনিস ফকির আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে এবং আমার দাঁত ভেঙে দিয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।”

কৃষক বজলুর রহমান জানান,

“ফসল কাটার সময়ে এই মাঠ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাঠ রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।”

আলম ফকির পরিবেশের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন,

“বাংলাদেশের পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, ফসলি জমিতে মাছ চাষ ক্ষতিকর। ঈদগাহ মাঠে মাছের খামার পরিবেশ ও এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

ঘটনার পটভূমি

গত ৩০ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার দুপুর ২টায় আবু আনিস ফকির ও তার স্বজনেরা ভেকু মেশিন ব্যবহার করে ঈদগাহ মাঠে খননের কাজ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা উপেক্ষা করেই এই কার্যক্রম চালানো হয়। এ ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত দাবি

  • ঈদগাহ মাঠ পুনরুদ্ধার ও তার ঐতিহ্য সংরক্ষণ।
  • অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা।
  • এলাকাবাসীর স্বার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

নিজাম উদ্দীন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি