চুরি আতঙ্কে একটি গ্রামের ১৫০টি পরিবার

চুরি আতঙ্কে একটি গ্রামের ১৫০টি পরিবার

কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতি রাতেই গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটছে। শীতের কুয়াশা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে চুরির তীব্রতাও। এর ফলে চুরির আতঙ্কে ভুগছে গ্রামবাসী। এই চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বড়িয়াচং গ্রামের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের দক্ষিণে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া- হবিগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বাড়িয়াচং গ্রামের অবস্থা। এই গ্রামে প্রায় ১৫০টি পরিবার বসবাস করে, যাদের অধিকাংশই নিম্ন আশের মানুষ । একমাত্র পেশা কৃষি আর গবাদিপশু পালন করে এরা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তারা।গত এক মাস ধরে গ্রামে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতি রাতেই গ্রামের কোনো না কোনো বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। বিদুৎের লাইট, বাথরুমের বদনা, টিভি, মোবাইল,টিউবওয়েল, গবাদিপশুসহ যা পাচ্ছে ঘরের সিদ কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী কার  দ্বারস্থ হবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না।৷ 

 সবশেষ মঙ্গলবার  রাতে গ্রামের কমল সরকারের বাড়িতে  চুরির ঘটনা ঘটেছে। টাকা, মোবাইলসহ ঘরের  মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী কমল সরকার  বলেন, ‘গ্রামে প্রতিদিন কোন না কোন ঘরে চুরি হচ্ছে। আমাদের ঘরগুলো মাটির ভিটের উপর টিনের বেড়া। যার কারণে সিদ কেঁটে ঘরে ঢুকে বাথরুমের বদনা থেকে শুরু করে  যা পাচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। গত মঙ্গলবার রাতে আমার ঘরে ঢুকে তিনটি মোবাইল, নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে।’

নারদ সরকার  বলেন,কয়েকদিন আগে আমার ঘরের ভিতর ঢুকে টিভি, ফ্যান নিয়ে গেছে। আমি একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করি। ‘ আমাদের গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটতেছে বেশি। বিষয়টিতে আমরা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত।

কুন্ডা ইউপির চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন ভূইয়া  বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা আমার সাথে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

নাসিরনগর  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শফিকুল ইসলাম  বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে চুরি -ডাকাতি অনেক কমেছে। ইতোমধ্যে অনেক ডাকাতদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কোথায় কোথায় চুরি হচ্ছে এগুলো আমাদের অবগত করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

নিহারেন্দু চক্রবর্তী,নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া